চট্রগ্রামের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ,বীর মুক্তিযুদ্ধা,সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর মৃত্যুতে Press To BD পরিবার গভীর ভাবে শোকাহত৷

চট্রল বাসীর অহংকার, চট্রল বাসীর গৌরব, বীর চট্রলার আপোষহীন কর্নধার, একজন গনমানুষের অভিবাবক একজন নেতা, আমাদের মাঝে আর নেই, দল বল নির্বিশেষে আমি তার আত্নার মাগফেরাত কামনা করছি।

আসুক শীত ত্বক প্রস্তুত

জানালার ধারে এসে, কাঁপে প্রজাপতি…
এমন শীত এখনো আসেনি। তবে আসতে আর কতক্ষণ। ভোরের শিশির কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। কম্বল নামানোও শুরু হয় গেছে। শীতের কাপড়গুলো বের করে ধুলা-ময়লা ঝাড়াও হচ্ছে। প্রকৃতিতে শীতের আয়োজন যে শুরু হয়ে গেছে, তা বোঝা যায় ত্বকের দিকে তাকালেই। ত্বকে টান টান ভাব আর শুষ্কতা জানান দিচ্ছে বাড়তি মনোযোগ দেওয়ার সময় এসে গেছে। শীতেও ধরে রাখা যেতে পারে ত্বকের প্রাকৃতিক জৌলুশ। তবে ধরন অনুযায়ী পাল্টে যাবে পরিচর্যার প্রক্রিয়া।

তৈলাক্ত ত্বকে

অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব, বন্ধ হয়ে যাওয়া লোমকূপ, ব্রণ—তৈলাক্ত ত্বকের লক্ষণ। যদিও শীতে ত্বকের তৈলাক্ত ভাবটা কমে যায়, কিন্তু বিশেষ নজরে রাখা চাই বছরের অন্য সময়ের মতোই। সকালে কোমল ক্লিনজিং জেল দিয়ে ত্বক পরিষ্কারের পাশাপাশি টোনার ব্যবহার জরুরি। এ ক্ষেত্রে স্যালিসাইলিক অ্যাসিডযুক্ত টোনার বন্ধ লোমকূপ খুলে দিতে সাহায্য করে। তারপর টি ট্রি তেল, গ্রিন টির মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে এমন সেরাম (ত্বক পরিচর্যার তরল) ব্যবহার করুন। জিংক অক্সাইডযুক্ত সানস্ক্রিন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপযোগী। রাতে এএইচএ কিংবা বিএইচএযুক্ত সেরাম ছাড়াও রেনিটেলযুক্ত সেরাম তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সেরা। মধু, লেবুর রস আর বেকিং সোডার মিশ্রণে তৈরি ফেস স্ক্রাব দিয়ে এক্সফোলিয়েশন (মুখের মরা চামড়া তুলে নেওয়া) করা যেতে পারে। পরিষ্কার করবে, আর্দ্রতাও ধরে রাখবে। দুই চা-চামচ ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে এক চা-চামচ দই, টমেটোর ভেতরের নরম অংশ এক চা-চামচ মিশিয়ে তৈরি করা যায় প্যাক। লেমন কিংবা জোজোবা ফেস অয়েল ব্যবহার করুন এ সময়। এ ছাড়া সপ্তাহে একদিন ক্লে কিংবা মাড মাস্ক ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখবে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হায়ালুরনিক অ্যাসিড, বেনজোয়েল পার অক্সাইডযুক্ত প্রসাধন–সামগ্রী বেছে নিন।
হাত-পায়ের জন্য দরকার নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং

শুষ্ক ত্বকে
ক্লিনজিং লোশন কিংবা ক্রিমি ক্লেনজার শুষ্ক ত্বকের জন্য উপযোগী। সঙ্গে ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড কিংবা সিউইড, গোজি বেরির মতো অ্যান্টি অক্সিডেন্টযুক্ত মিল্কি টোনার শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা জোগাবে, রাখবে মসৃণ। অ্যান্টি অক্সিডেন্টযুক্ত সেরাম বাড়তি পুষ্টি জোগাবে। এসপিএফযুক্ত ভারী ময়েশ্চারাইজার শুষ্ক ত্বকের সুরক্ষার জন্য সেরা। রাতে হায়ালুরনিক অ্যাসিডযুক্ত সেরাম দেবে বাড়তি আর্দ্রতা। রেনিটেলযুক্ত সেরাম আর আই ক্রিমও শুষ্ক ত্বকের জন্য উপকারী। আলট্রা হাইড্রেটিং আরগন কিংবা ল্যাভেন্ডার ফেস অয়েল শুষ্কতা দূর করবে, পুষ্টি জোগাবে ভেতর পর্যন্ত।

এ ছাড়া অ্যাভোকাডো, মধু আর ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে তৈরি প্যাক শুষ্ক ত্বককে আর্দ্র রাখবে। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে জলপাই তেল আর মধু মিশিয়ে সেই প্যাকও ব্যবহার করা যায়। এএইচএ ফেইস পিল ব্যবহার করতে পারেন সপ্তাহে একদিন। সে ক্ষেত্রে সমপরিমাণ আখের রস আর দই দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। মুখে মেখে রাখুন ২০ মিনিট। ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন। নিয়ম মেনে চললে শীতেও সুস্থ থাকবে শুষ্ক ত্বক।

স্বাভাবিক ত্বকে
এ ধরনের ত্বকে বেশি আলাদা যত্নের প্রয়োজন পড়ে না। বরং সাধারণ রুটিনের সঙ্গে কিছু বাড়তি জিনিস যুক্ত করলেই চলবে। এ সময় হায়ালুরনিক অ্যাসিডযুক্ত ময়েশ্চারাইজার আর্দ্রতা ধরে রাখবে ভালোভাবে। রাতের ক্রিম হিসেবে ভিটামিন বি থ্রি, সি এবং ই আছে এমন ক্রিম শীতের জন্য ভালো। গ্লাইকোলিক অ্যাসিডযুক্ত ফেইস সেরামও স্বাভাবিক ত্বককে সুস্থ রাখবে শীতে। দেবে বাড়তি জেল্লা। অ্যাভোকাডো, অ্যালোভেরা, কলা, ওটমিল, ডিমের কুসুম, মধু ইত্যাদি দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন।

মিশ্র ত্বকে
এ ধরনের ত্বক পরিষ্কার করতে বিশেষ ধরনের প্রসাধন–সামগ্রী ব্যবহার করা চাই। টি জোনকে (কপাল থেকে নাকের দুই পাশ) পরিষ্কার রাখবে। সঙ্গে ত্বকের শুষ্ক অংশগুলোকেও আর্দ্র রাখবে। সে ক্ষেত্রে ত্বক ভারসাম্যকারী ক্লিনজার আর টোনার বেছে নিতে হবে। ময়েশ্চারাইজারও বাছতে হবে সাবধানে। এটি হতে হবে ভেজা কিন্তু তেলহীন। ফলের এনজাইমে তৈরি এক্সফোলিয়েটর মিশ্র ত্বকের জন্য বেশি উপকারী। রেনিটেল ছাড়াও এএইচএ আর বিএইচএতে তৈরি সেরাম এ ধরনের ত্বকে ব্যবহার করা যায় অনায়াসেই। ত্বকের জন্য তেল ব্যবহার করতে চাইলে আঙুরের বিচি, জলপাই, অ্যালোভেরা ছাড়াও গাজরের বিচির তেল থেকে বেছে নেওয়া যেতে পারে যেকোনোটা। ত্বকের ধরন বুঝে মাল্টি মাস্কিং প্রক্রিয়ায় সপ্তাহে একদিন মিশ্র ত্বকের বিশেষ যত্ন নিন ঘরে বসেই।

ত্বক ভালো রাখার টিপস
* ত্বক ও চুলের সুস্থতা বজায় রাখতে শীতকালীন সবজি চমৎকার। কমলা, আপেল ও বেরির মতো ফল ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখবে শীতজুড়ে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের বাদাম, কুমড়ার বিচি, স্ট্রবেরি, অ্যাভোকাডো, নারকেল রাখা দরকার শীতের খাবারের তালিকায়।
* সপ্তাহে একদিন স্পা করতে পারেন ঘরে বসেই। এতে শীতের রুক্ষতা থেকে রক্ষা পাবে পুরো শরীর। দুই কাপ চিনির সঙ্গে অর্ধেক কাপ এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে পুরো শরীর স্ক্রাব করে নিন। মুখের ত্বকের জন্য ওটমিল আর মধুর মিশ্রণ উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দিতে দারুণ। যাঁরা ত্বক মসৃণ করতে চান, তাঁরা কুমড়ার ভেতরের নরম অংশের সঙ্গে মধু আর দুধ মিশিয়ে তৈরি করে নিন প্যাক।
* তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে বেছে নিতে পারেন লেবু কিংবা জোজোবা তেল। এগুলো ত্বকের দাগ-ছোপ দূর করবে, রোধ করবে ব্রণ। ত্বকের সেরাম উৎপাদনের মাত্রাকে রাখবে স্বাভাবিক। জোগাবে আর্দ্রতাও। শুষ্ক ত্বকের জন্য ল্যাভেন্ডার আর আরগান তেলটাই বেশি উপযোগী। এগুলো ত্বকের গভীরে আর্দ্রতার জোগান দেয়, দূর করে দাগ-ছোপ। আলট্রা হাইড্রেটিং হওয়ায় ত্বককে সহজে বুড়িয়েও যেতে দেয় না। স্পর্শকাতর ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন শণবীজ কিংবা পেপারমিন্ট তেল। ত্বক ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করবে তেলগুলো। র‌্যাশ আর লালচে ভাব সারাবে।
* ত্বক পরিষ্কারের জন্য ডবল ক্লেনজিং এখন জনপ্রিয়। এতে মূলত দুই ধরনের ক্লিনজার ব্যবহার করা হয়। একটা তেলযুক্ত ক্লিনজার, যা মেকআপ আর সেরামের মতো তৈলাক্ত ময়লাগুলো দূর করে। তারপর ব্যবহার করা হয় ফোম অথবা ক্রিম ক্লিনজার। ঘাম ও ধুলাবালুর মতো পানিযুক্ত ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক হয় পরিপূর্ণ পরিষ্কার।
* শীতে সূর্যটা খুব বেশি প্রখর না থাকলেও সূর্যের ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মি এই সময়েও সমান ক্ষতিকর। প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা চাই। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি এসপিএফ-যুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যায়। শীতে ত্বক আর্দ্রও থাকবে, থাকবে সুরক্ষিত।
* খুব বেশি লম্বা সময় ধরে গোসল করা উচিত নয়। এতে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায়। এতে ত্বক দেখায় ম্যাড়মেড়ে, রুক্ষ ও খসখসে। তাই শীতে অল্প সময়ে ঈষদুষ্ণ পানিতে গোসলটা সেরে নিন। গোসলের পরপরই ভারী ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন ত্বকে।
* শীতে গোল্ডেন মিল্ক খেয়ে দেখতে পারেন। এটা বানানো খুব সহজ। এক কাপ দুধে অর্ধেক চা-চামচ হলুদ পেস্ট কিংবা গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল, সিকি চা-চামচ গোলমরিচের গুঁড়া আর দুই স্টিক দারুচিনি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর ছেঁকে খেয়ে নিন। ত্বক উজ্জ্বল করবে এটি। চুলের বৃদ্ধিও ত্বরান্বিত করবে। অ্যান্টি এজিং হিসেবেও দারুণ। সঙ্গে ঠান্ডাজনিত যেকোনো সমস্যা সারাবে।
* যোগব্যায়াম দেহের রক্ত সঞ্চালনকে ত্বরান্বিত করে। ফলে দেহ পায় বাড়তি অক্সিজেন আর উপকারী ফ্রি র‌্যাডিকেল, যার প্রভাব পড়ে ত্বকেও। হয়ে ওঠে তারুণ্য আর উজ্জ্বল।

প্রতিদিনকার পরিচর্যায়
দিনে ও রাতে দুই বেলা নিয়ম করে ক্লেনজিং টোনিং—ময়েশ্চারাইজিং করতে হবে ত্বকে। সানস্ক্রিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক। মুখে দাগ-ছোপের জন্য স্পষ্ট ট্রিটমেন্ট ক্রিমটাও প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে নিয়ম করে। প্রতিদিন গোসলটা করতেই হবে। এতে ক্লান্তি দূর হবে, শরীর থাকবে ঝরঝরে। প্রতিদিন আট ঘণ্টা ঘুমান ঘড়ি ধরে। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। চাইলে ‘ইনফিউজড ওয়াটার’ পান করতে পারেন। স্বাদের পাশাপাশি পুষ্টিগুণও বাড়বে পানির। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লেবুপানি পান করতে পারেন। সকালে নাশতায় স্মুদি তৈরি করুন। ভিটামিন এ, সি, ই আর কে-তে পরিপূর্ণ এ পানীয়গুলো দেহের প্রয়োজন মেটানোর সঙ্গে ত্বককেও রাখবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। প্রতিদিন খাবারে পালঙের মতো সবুজ শাকের সঙ্গে অ্যাভোকাডো আর কলাও রাখতে পারেন মেন্যুতে। নিয়ম করে প্রতিদিন খেতে পারেন ত্বক, চুল আর নখের সাপ্লিমেন্ট।

ত্বক পরিষ্কারের পাশাপাশি টোনার ব্যবহার করুনসপ্তাহান্তে
কর্মজীবী নারীরা ছুটির দিনে ত্বককে দিন বিশেষ যত্ন। ঘরে বসে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেস মাস্ক তৈরি করে মেখে নিন মুখে। সঙ্গে ত্বককে দিন রিল্যাক্সিং ফেসিয়াল ম্যাসাজ। শিট মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন সপ্তাহে একবার। মাথার ত্বকও মালিশ করে নিন। সঙ্গে চুলকে দিন ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট।
নখের যত্ন নিন। নখ কাটার সঙ্গে সঙ্গে ক্রিম লাগান। নেইলপলিশ তুলে ফেলুন কিংবা রংটা পাল্টাতে পারেন। পুরো বডি স্ক্রাব করে নিতে হবে সপ্তাহে একবার। ছুটির দিনে হালকা ইয়োগা করতে পারেন। সঙ্গে সপ্তাহে একদিন যন্ত্রের সহায়তায় ব্যায়াম করা ত্বকের জন্য উপকারী। এ ছাড়া বালিশের ঢাকনা পরিবর্তন আর মোবাইলের পর্দা জীবাণুমুক্তকরণ করতে হবে সপ্তাহে। মেকআপের ব্রাশও পরিষ্কার করে ফেলতে হবে এ সময়।

পাক্ষিক পরিচর্যা
পনেরো দিনে একবার হলেও ভ্রুর পরিচর্যা করতে হবে। থ্রেডিং বা ওয়্যাক্সিং (লোম তোলা) করে নিতে হবে পছন্দ অনুসারে। হাত-পায়ের অবাঞ্ছিত লোমও তুলে ফেলা দরকার। হাত-পায়ের যত্নে ম্যানিকিউর-পেডিকিউর আবশ্যক। চুলের যত্নে নিতে পারেন হট অয়েল ট্রিটমেন্ট (তেল একটু গরম করে মালিশ করা)। চুলের ফাটা আগাও ছেঁটে নেওয়া যেতে পারে এ সময়।
শীত আসবেই। ত্বকের ওপর শীতের প্রভাব পড়বেই। তাই বলে কি শীতের কাছে হেরে যাবেন? মোটেই না। যত্ন নিন এখন থেকেই। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। সুন্দর থাকুন।

লেখাটিতে বেশ কিছু কারিগরি ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে প্রসাধনীর নাম, ধরন, উপকরণ এবং ত্বক পরিচর্যার পদ্ধতি বোঝার জন্য।

কীভাবে এল সাবান?

সাবান তা সে যে রঙেরই হোক, কাজ কিন্তু একটাই—পরিষ্কার করা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে সাবান ব্যবহারের ইতিহাস প্রায় পাঁচ হাজার বছরের পুরোনো।

খ্রিষ্টপূর্ব ২৮০০ বছর আগে প্রাচীন ব্যাবিলনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে সাবানজাতীয় বস্তুর ব্যবহারের প্রথম প্রমাণ মেলে। সে সময় মাটির পাত্রগুলোতে সাবানের মতো বস্তু তৈরি ও ব্যবহার করা হতো।

খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ সালে প্রকাশিত চিকিৎসাবিজ্ঞানবিষয়ক লেখা দি ইবার্স প্যাপিরাস থেকে জানা যায়, সেই যুগে মিসরে পশুর চর্বি ও সবজির তেলের সঙ্গে অ্যালকাইন লবণ মিশিয়ে অনেকটা সাবানের মতো দ্রব্য প্রস্তুত করা হতো। তবে সেই সাবানজাতীয় পদার্থ শুধু পরিচ্ছন্নতার কাজে নয়, নানা ধরনের চর্মরোগের চিকিৎসায়ও ব্যবহৃত হতো।

সাবানের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় দ্বাদশ শতকের কোনো একসময়; যুক্তরাজ্যে। তবে আমরা যে সাবান ব্যবহার করি, তা এসেছে রসায়নবিদ মিশেল ইউজিন শেভ্রুলের হাত ধরে, ১৮২৩ সালে। এই ফরাসি বিজ্ঞানীই প্রথম চর্বি, গ্লিসারিন ও অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করে সাবান তৈরির কৌশল আবিষ্কার করেন।

এরপর এল গুণগত মান পরিবর্তন। ১৮৬১ সালে বেলজিয়ান রসায়নবিদ আর্নেস্ট সলভে এ কাজে ভূমিকা রাখেন। তিনি শেভ্রুলের কৌশলকে ভিত্তি ধরেই সাবান তৈরিতে সোডা অ্যাশ ব্যবহার করে গুণগত মান বাড়ান। সাবানের বাণিজ্যিক ব্যবহার বাড়াতে তা ছিল বড় অগ্রগতি।

সাংবাদিকতার সহজপাঠ খুলে দিল চোখ

হ্যালোর সাংবাদিক হিসেবে হাতেকলমে শিক্ষার পাশাপাশি পেলাম সহায়ক বই, সাংবাদিকতার সহজপাঠ বইটি। এ বইটি আমার প্রশিক্ষণকে পূর্ণ করেছে।

আমাদের সবাইকে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এই অসাধারণ বইটি দেওয়ার জন্য প্রথমে ধন্যবাদ জানাই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা প্রতিনিধি বিজয় কাজল ভাইয়া আমাদের মাঝে বইটি বিতরণ করেন।

বাসায় ফিরে রাতেই বইটা পড়ে ফেললাম। মনে হল একজন পূর্ণাঙ্গ সাংবাদিক হয়ে উঠতে বইটার ভূমিকা অপরিসীম।

একটা খবরের মূল উদ্দেশ্য হলো তা পাঠকের কাছে যেন আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। পাঠক যেন খবরটি পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করে। আর এই আগ্রহ কীভাবে একজন সাংবাদিক তার লেখার মধ্যে সৃষ্টি করবে, বইটিতে সুন্দরভাবে বিশ্লেষন করা হয়েছে। যা আমার কাছে বেশ গঠনমূলক মনে হয়েছে।

বইটা পড়ে আরও বুঝলাম, একটা খবর কখন খবর হয়ে ওঠে, এর গঠন কাঠামো কেমন হবে। যদি খবরটার কাঠামো সুন্দর না হয় তাহলে খবরটি পাঠক পড়বে না, সেটাও বুঝলাম।

এছাড়াও বইটির অন্যতম সংযোজন, ভিডিও করার শিক্ষা। ভিডিও প্রতিবেদন করার ক্ষেত্রে যেটি মূল ভূমিকা রাখবে। বিষয়টি এত সহজ ও সাবলীল কথা ও ছবি দিয়ে সাজানো ও বোঝানো হয়েছে, আমার মনে হয় একজন প্রাথমিকের পড়ুয়াও এটা সহজে বুঝতে পারবে।

তাই আর দেরি নয়। এবার শুরু করে দেবো সংবাদ ও ভিডিও সংবাদ করার কাজে।

প্রতিদিনের যে অভ্যাস আপনার ডায়াবেটিসের কারণ

সুস্বাস্থ্যের জন্য আমরা মেনে চলি নানা নিয়ম। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সুস্বাস্থ্য এমনিতেই ধরা দেবে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আমরা ভালো কিছু অভ্যাস গড়ে তুলি। কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন এই অভ্যাসগুলোর মধ্যেই একটি হতে পারে মারাত্মক কোনো অসুখের কারণ? আর সেই অসুখটির নাম হচ্ছে ডায়াবেটিস। সারা বিশ্বে প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছেন। ভারতকে ডায়াবেটিসের রাজধানী বলা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ডায়াবেটিস ২০৩০ সালের মধ্যে মৃত্যুর সপ্তম প্রধান কারণ হবে। এটি কিডনির সমস্যা, হৃদরোগ, স্ট্রোক, অন্ধত্বের প্রধান কারণ।

জার্নাল ‘নাইট্রিক অক্সাইড’ এ প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যে যারা প্রতিদিন দুইবার বা তার বেশি সময় ধরে মাউথওয়াশ ব্যবহার করেন তারা ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে রয়েছেন সবচেয়ে বেশি।

মুখের অভ্যন্তরে ভালো এবং খারাপ এই দুই ধরনেরই জীবাণু আছে। আমরা প্রতিদিন যে মাউথওয়াশ ব্যবহার করি তা জীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি ভালো আর খারাপ জীবাণুকে আলাদা করতে পারে না বরং সব জীবাণুকেই ধংস করে দেয়। মাউথওয়াশকে বলা হয় প্রাকৃতিক এন্টিসেপ্টিক। এদিকে আবার আমাদের শরীরে বিপাক ক্রিয়ার জন্য ভালো জীবাণুর প্রয়োজন রয়েছে।

 

ত্বক উজ্জ্বল করে শসা

ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের কোনও বিকল্প নেই। ত্বকের স্নিগ্ধতা বজায় রাখতে শসা ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত। শসার প্রায় পুরোটাই পানি। এছাড়া ভিটামিন সি ও নানা ধরনের গুণসমৃদ্ধ শসা ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত করে। ডার্ক সার্কেল দূর করার জন্য শসা স্লাইস করে চোখের উপর দিয়ে রাখতে পারেন। অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন ত্বকের যত্নে। জেনে নিন ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় শসা কীভাবে ব্যবহার করবেন। 

লেবুর রস ও শসা

  • তিন টেবিল চামচ শসার রসের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন।

  • কাচের মুখবন্ধ বয়ামে মিশ্রণটি সংরক্ষণ করুন।

  • দিনে কয়েকবার এই মিশ্রণ দিয়ে মুখ মুছে নিন।

  • এটি ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল করবে।

গ্রিন টি ও শসা

  • এক কাপ গরম পানিতে গ্রিন টি মিশিয়ে নিন।

  • চায়ের লিকার ঠাণ্ডা হলে ১১ টেবিল চামচ লিকারের সঙ্গে ২-৩ টেবিল চামচ শসার রস মিশিয়ে নিন।

  • একটি স্প্রে বোতলে মিশ্রণটি ঢেলে নিন।

  • মুখ পরিষ্কার করে এটি ব্যবহার করুন।

অ্যালোভেরা জেল ও শসা

  • ২ টেবিল চামচ শসার রসের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন।

  •  তুলার ছোট টুকড়া মিশ্রণে ডুনিয়ে মুখে লাগান ঘষে ঘষে।

  • দিনে কয়েকবার ব্যবহার করতে পারেন ত্বকে।

শসা ও ভিটামিন ই

  • ভিটামিন ই ট্যাবলেট থেকে তেল বের করে নিন।

  • তেলের সঙ্গে ২ চা চামচ শসার রস মেশান।

  • খুব ভালো করে ঘষে ঘষে ত্বকে লাগান মিশ্রণটি।

  • নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে ফিরে আসবে প্রাণ।

গোলাপজল ও শসা

  • ১ টেবিল চামচ শশার রসের সঙ্গে সমপরিমাণ গোলাপজল মিশিয়ে নিন।

  •  একটি স্প্রে বোতলে নিয়ে নিন মিশ্রণটি।

  • ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে তারপর এটি স্প্রে করুন।

  •  এটি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের বাড়তি তৈলাক্তভাব দূর হবে।

টমেটো ও শসা

  • ১ টেবিল চামচ শসার রসের সঙ্গে ১ চা চামচ টমেটোর রস মেশান হবে।

  • দিনে অন্তত একবার মুখে এই মিশ্রণ ব্যবহার করুন। ত্বক থাকবে সুস্থ ও সুন্দর।

গ্লিসারিন ও শসা

  • আধা চা চামচ গ্লিসারিনের সঙ্গে ১ চা চামচ শসার রস মিশিয়ে নিন।

  • মিশ্রণটি প্রতিদিন ব্যবহার করুন ত্বকে। ত্বক নরম হবে।